Read Time:5 Minute, 26 Second

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যে আরেক দফা বৈঠকের যে কথাবার্তা চলছে, তা আরো গতিশীল হবে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। গতকাল শনিবার এশিয়া সফরে যাওয়ার সময় এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে গতকাল জাপানের টোকিও পৌঁছান পম্পেও। এরপর উত্তর কোরিয়া সফরে যাবেন তিনি। সেখান থেকে যাবেন দক্ষিণ কোরিয়ায়।

গতকাল টোকিও যাত্রাকালে বিমানে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে ট্রাম্প ও উনের সম্ভাব্য দ্বিতীয় বৈঠক নিয়ে কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম লক্ষ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে বিশ্বাস স্থাপন করা। সেই সঙ্গে আমরা দুই নেতার পরবর্তী বৈঠকের ব্যাপারেও কথা বলব।’

তবে শিগগিরই ট্রাম্প ও উনের মধ্যে আরেকটি বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করেন পম্পেও। তিনি বলেন, ‘খুব শিগগিরই বৈঠক হওয়ার ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে। তবে বৈঠকের সম্ভাব্য স্থান ও সময় নিয়ে আলোচনা শুরু করা যেতে পারে। আর আলোচনা শুরু হলে পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।’

গত জুনে সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প ও উনের মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠক হয়। সেখানে দুই নেতা একটি ‘প্রতিশ্রুতিপত্রে’ সই করেন। তাতে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন উত্তর কোরিয়ার স্থিতিশীলতার নিশ্চয়তা দেবে এবং এর বিনিময়ে পিয়ংইয়ং কাজ করবে কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে।

তবে ওই প্রতিশ্রুতিপত্রের কার্যত কোনো অগ্রগতি এখনো দেখা যায়নি। উল্টো গত মাসে পম্পেওর পূর্বনির্ধারিত পিয়ংইয়ং সফর বাতিল করেন ট্রাম্প। যদিও কয়েক দিন আগে আবার বলেছেন, তিনি এবং উন একে অপরের ‘প্রেমে’ পড়েছেন।

জাপান সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারা কোনোর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন পম্পেও। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া যাওয়ার আগে পিয়ংইয়ং ইস্যুতে ওয়াশিংটন ও টোকিওর একই মনোভাব থাকাটা জরুরি। পম্পেও জানান, উত্তর কোরিয়ার হাতে জাপানের কয়েকজন নাগরিক অপহৃত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি এবার উনের সঙ্গে কথা বলবেন।

উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে জাপানের যে বৈরী সম্পর্ক, তার অন্যতম একটি কারণ হলো অপহরণের ওই ঘটনা। এ ছাড়া জাপানের আকাশসীমার ওপর দিয়ে একাধিকবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া, যা স্বাভাবিকভাবেই টোকিওকে ক্ষুব্ধ করেছে।

যুদ্ধাবসানের আহ্বান সিউল ও পিয়ংইয়ংয়ের

উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া যুদ্ধের ঝুঁকি সম্পূর্ণ অবসানের আহ্বান জানিয়েছে। গতকাল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ কথা জানায়। ২০০৭ সালের আন্তঃকোরীয় শীর্ষ সম্মেলনের ১১তম বার্ষিকী পালনে পিয়ংইয়ংয়ে শুক্রবার অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানানো হয়। গতকাল কেসিএনএ (কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি) পরিবেশিত খবরে এ কথা বলা হয়। উত্তর কোরিয়ার সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলির সভাপতিমণ্ডলীর সভাপতি কিম ইয়ং নাম ও দক্ষিণ  কোরিয়ার একত্রীকরণ বিষয়ক মন্ত্রী চো মিউং-গিউন এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত ২০১৮ আন্তঃকোরীয় শীর্ষ সম্মেলনে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক পানমুনজম ঘোষণা এবং দুই দেশের নেতাদের গত মাসে স্বাক্ষরিত  সেপ্টেম্বর ঘোষণা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান। ২০০৭ সালের অক্টোবরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং ইল ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট রোহ মু-হিউন পিয়ংইয়ংয়ে সম্মেলন করেন। এ সময় উভয় পক্ষ আন্তঃকোরীয় সম্পর্কোন্নয়ন এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছিলেন। সূত্র : সিনহুয়া, এএফপি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post সেন্টমার্টিনের মালিকানা দাবি, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব
Next post কঙ্গোতে তেলবাহী গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত ৫০
Close