Read Time:6 Minute, 21 Second

জাতিসংঘের সামনে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির পাল্টা সমাবেশ ঘিরে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও শেষ পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনার অবতারণা হয়নি। তবে লন্ডন থেকে আগত বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাহিদুর রহমানকে লাঞ্ছিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কর্মীরা। ‘উড়ে এসে জুড়ে বসে নেতৃত্বের স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির অনেকেই চড়াও হয়েছিলেন তার ওপর।

জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের সমর্থনে ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার অপরাহ্নে আওয়ামী লীগ ‘স্বাগত সমাবেশ’ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ, স্টেট আওয়ামী লীগ, নিউইংল্যান্ড আওয়ামী লীগ, নিউজার্সি আওয়ামী লীগ, পেনসিলভেনিয়া আওয়ামী লীগ, মেট্র ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ, মিশিগান, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া প্রভৃতি অঙ্গরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জড়ো হন জাতিসংঘের সামনে।

‘শেখ হাসিনার আগমণ-শুভেচ্ছা স্বাগতম’ স্লোগানে সাড়া জেগে যায় গোটা এলাকায়। পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে শতশত নেতা-কর্মীর এ সমাবেশ এক পর্যায়ে উৎসব-আমেজে রূপ নেয়। এতে নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন ড. সিদ্দিকুর রহমান, আকতার হোসেন, সৈয়দ বসারত আলী, নিজাম চৌধুরী, সামাদ আজাদ, আইরিন পারভিন, হাজী এনাম, আব্দুর রহিম বাদশা, জাহাঙ্গির হোসেন, জাকারিয়া চৌধুরী, আব্দুল কাদের মিয়া, মোর্শেদা জামান, নূরল আমিন বাবু, মোজাহিদুল ইসলাম, মিসবাহ আহমেদ, ফরিদ আলম, আশরাফুজ্জামান, মাহবুবুর রহমান টুকু, খোরশেদ খন্দকার, তৈয়বুর রহমান টনি, মিসবাহ আবদিন, রেজাউল করিম রেজনু, সালেহ শফিক গেন্দা, সাখাওয়াত বিশ্বাস, নুরুজ্জামান সরদার, কাজী আজিজুল হক খোকন, নান্টুৃ মিয়া, জামাল হোসেন, সেবুল চৌধুরী প্রমুখ।

পুুলিশ বেষ্টনীতে বিএনপি, যুবদল, জাসাস, ছাত্রদলেরর উদ্যোগে ‘যেখানে হাসিনা-সেখানেই প্রতিরোধ’ কর্মসূচিতে অংশ নেন নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, ওয়াশিংটন মেট্র, কানাডা, মিশিগান প্রভৃতি এলাকার নেতা-কর্মীরা। ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই দিতে হবে’, ‘কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থার বিকল্প নেই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন নেতা-কর্মীরা। ৫ বছরাধিককাল আগে থেকে কোন কমিটি না থাকায় খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত নেতা-কর্মীরা এ কর্মসূচিতে অঘোষিত এক ঐক্যের পরিক্রমা সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু সে পরিবেশে বিঘ্ন ঘটে লন্ডন থেকে বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাহিদুর রহমানের উপস্থিতিতে। গত কয়েক বছরে বেশ ক’বার তিনি নিউইয়র্কে এসেছেন। ‘ভাইয়া পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সম্ভাব্য নেতাদের তালিকা তৈরির জন্যে’-এমন কথা রটিয়ে নেতৃত্ব পেতে আগ্রহীদের কাছে থেকে বিশেষ আতিথেয়তা পাবার পর লন্ডনে ফিরে কমিটির প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। এ নিয়ে প্রায় সকলেই ক্ষুব্ধ ছিলেন। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটলো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ব্যানারের সামনে দাঁড়ালেই নেতৃবৃন্দ চড়াও হন তার ওপর। এক পর্যায়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়া হয়। এ সময় দুয়েকজন প্রতিবাদের চেষ্টা করলেও অধিকাংশ কর্মীর সমর্থন পাননি।

বিএনপি, যুবদল, জাসাস, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট, সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও রিপাবলিকান পার্টির নেতা গিয়াস আহমেদ, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা নাজমুন নাহার বেবী, শরাফত হোসেন বাবু, জিল্লুর রহমান, মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, আকতার হোসেন বাদল, গোলাম ফারুক শাহীন, জসীমউদ্দিন, আনোয়ারুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন খোকন, আলহাজ্ব বাবরউদ্দিন, এম এ বাতিন, আলহাজ্ব আবু তাহের, কাওসার আহমেদ, ফারুক হোসেন মজুমদার, জাকির এইচ চৌধুরী, আবু সাঈদ আহমেদ, কানাডা বিএনপির সভাপতি ফয়সল চৌধুরী, সোহরাব হোসেন, মাহফুজুল মাওলা নান্নু, মাওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সাঈদুর রহমান, মাজহারুল ইসলাম জনি, মোহাম্মদ হোসেন, খলকুর রহমান, সৈয়দা মাহমুদা শিরিন প্রমুখ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post মালয়েশিয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের হাতে ইমিগ্রেশনের ছয়জন গ্রেফতার
Next post জাতিসংঘে শহিদুল আলমসহ ৬ সাংবাদিকের মুক্তি দাবি
Close