Read Time:6 Minute, 1 Second

প্রবাস বাংলা নিউজ :

বিগত ২৩ সেপ্টেম্বরের বালার নির্বাচনকে কেন্দ্রা করে লস এঞ্জেলেসে উত্তেজনার ঝড় বইছে। উল্লেখ্য যে, বর্তমান বলার কার্যকারী কমিটির সভাপতি ডা: সিরাজুল্লাহ ২৩ সেপ্টেম্বরের এক নির্বাচনী ইশতেহার জারি করেন। এর ফলে কমিউনিটিতে বালার পুরাতন মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। বালা ১৯৭১ সনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তারপর নানা ঘাত প্রতিঘাতের মাঝে অচল হয়ে পড়েছিল। আহমেদ কবির বিগত সাড়ে তিন বছর পূর্বে বালার রেজিস্টেশন করেন এবং ডা: সিরাজুল্লাহর কাছে হস্তান্তর করেন, যাতে বালাকে পুনরায় কমিউনিটির সকল মানুষকে নিয়ে পুন:গঠিত্ হয়। বালার পুনরুত্থানের সাড়ে তিন বছর পর তিনি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে শফি আহমেদ, শফি মাসুদ পরিষদ নামে একটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল জমা দেন। সৈয়দ এম হোসেন বাবু ৬টি পদের একটি প্যানেল জমা দেয়। নির্বাচনের তিন দিন পূর্বে নির্বাচনের নামে প্রহশন ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উত্থাপন করে অংশগ্রহণ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ আনলে নির্বাচন কমিশন তদন্ত করবেন বলে জানায়।

অপরদিকে, কমিউনিটির বৃহৎ এক অংশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশাল টাউন হল মিটিং লিটন বাংলাদেশ এলাকায় করে বিগত ১৮ সেপ্টেম্বর। উক্ত টাউন হল মিটিং এ বালার নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবী জানায় এবং বালার নির্বাচন মূল সংবিধান ভিত্তিক নিয়মে করার দাবী জানায়। তারা আরও উল্লেখ করে বলেন যে, বালা বৃহত্তর লস এঞ্জেলেস তথা ক্যালিফোর্ণিয়ায় বসবাসরত সকল কমিউনিটির প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন। ভোটার হওয়ার জন্য কোন সদস্য পদ গ্রহণ করা সংবিধানের এখতিয়ার বহিভূত। উক্ত টাউন হল মিটিং এ একটি এডহক কমিটি গঠন করে যাদের উপর দায়িত্ব ন্যাস্ত করা হয়। তারা যেন কার্যকরী কমিটির প্রেসিডেন্ট এবং নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠকের মাধ্যমে একটি এবং অভিন্ন বালার নির্বাচন হয়।

ইতিমধ্যে শফি আহমেদের সাথে সংগঠনের সভাপতির সাথে বাকবিতর্কের পর যখন শফি আহমেদ নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষনা দেন তার ঘন্টা খানেরর পর ডা: সিরাজুল্লাহ নির্বাচন স্থগিত ঘোষনা দেন। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন মুলতবি ঘোষণা করে এবং অবশেষে সকল নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেন।

অপরদদিকে আরও একটি সমস্যা তৈরি হয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সৈয়দ এম হোসেন বাবু নিজেকে বর্তমানে বালার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দাবি করেছেন।

তার বক্তব্য হচ্ছে- যেহেতু অপর পক্ষ নির্বাচন প্রত্যাহার করেছে সেহেতু স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার প্যানেল বিজয়ী হিসেবে ঘোষিত হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করার সে বিষয়ে প্রশ্ন বোধক হয়ে ওঠে এবং বর্তমান বালার প্রেসিডেন্ট ডা: সিরাজুল্লাহ তাকে স্বীকৃতি দেয়নি। এমতাবস্থায় তিনি নিজেকে বালার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দাবী করেছেন। প্রয়োজনে আইনী প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও বলেছেন।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর টাউন হল মিটিং থেকে সৃষ্ট এডহক কমিটি তাদের মিটিং করে এবং জানায়, নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করাতে তাদের সাথে কোন বৈঠকে মিলিত হতে পারেনি তবে প্রেসিডেন্ট সিরাজুল্লাহ সাহেবের সাথে কথা হয়েছে। তিনি এডহক কমিটির সাথে বসতে রাজী নন। তিনি বলেছেন, কার্যকরী কমিটি ছাড়া তিনি বসবেন না।

এই পরিস্থিতিতে এডহক কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, বালার একটি সার্বজনীন এক ও অভিন্ন নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেবে। যেখানে মূল সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হবে। পিকনিক আকারে সকল কমিউনিটির মানুষের ভোটে নির্বাচিত কার্যকরী কমিটি গঠিত হবে। যেখানে কোন সদস্যা পদ গ্রহণ নয়। আইডি কার্ড দেখে ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনের তারিখ নির্বাচন কমিশন গঠনের পরপরই ঘোষিত হবে বলে উক্ত এডহক কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়। কমিউনিটির সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সকলের জন্য দ্বার উন্মুক্ত থাকবে বলে জানা যায়। এড হক কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাহেদুল মাহমুদ জামি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ভূমিকম্পের পর সুনামি, ইন্দোনেশিয়ায় নিহত ৩০
Next post রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ ১৩ অক্টোবর প্রাগে উদ্বোধন করবেন আয়েবা ইসি মিটিং
Close