ক্ষমতায় যেতে প্রধানমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা মায়াবতীকে মেনে নিতে আপত্তি নেই কংগ্রেসের। গতকাল মঙ্গলবার কংগ্রেসের শীর্ষ সূত্রে এমন আভাস দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী পদে রাহুল গান্ধীর নাম ঘোষণা করে দল যে বিরোধী শিবিরে বৃহত্তর ঐক্য নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব তৈরি করতে চায় না সেটিরই ইঙ্গিত এটি।
গত রবিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে দাবি উঠেছিল, বিরোধী জোটে রাহুলকে মধ্যমণি করে তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষণা করা হোক। পরে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাহুলই কংগ্রেসের মুখপাত্র। এর পরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া প্রকাশ্যেই সমর্থন করেছিলেন রাহুলকে।
কিন্তু লালু-পুত্র তেজস্বী বলে দেন, বিরোধী জোটে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার অনেকে। প্রধানমন্ত্রী পদে মমতাকে বসানো নিয়ে জল্পনা রয়েছে অনেক দিন ধরেই। মায়াবতীও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সক্রিয়।
গতকাল কংগ্রেসকে কার্যত সতর্কবার্তা দিয়ে দলিত নেত্রী বলেছেন, আসন বণ্টন ঠিক মতো না হলে জোট হবে না। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আজ ঘনিষ্ঠ মহলে রাহুলের বার্তা, বিজেপিকে রুখতে তিনি নমনীয় হতে রাজি।
কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রের মতে, রাহুল মনে করেন, প্রধানমন্ত্রিত্বের থেকেও এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ হল বিজেপিকে হারানো। মমতা সম্পর্কে তাঁর মত, তৃণমূল নেত্রী কংগ্রেস থেকে এসেছেন। ফলে আরএসএসের সঙ্গে তিনি থাকবেন না। পশ্চিমবঙ্গে জোট নিয়ে জটও কেটে যাবে।
কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছেন, ভোটের পরে বড় দল হিসেবে কংগ্রেস উঠে এলে অঙ্কের হিসেবেই জোটের প্রধানমন্ত্রী হবেন রাহুল। সেটা ঠিক হবে ভোটের ফলপ্রকাশের পরে। যে কারণে গতকাল শরদ পওয়ারের তরফেও বলা হয়, মানুষ রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিলে এনসিপি বিরোধিতা করবে কেন?
মোদিকে হারানোর অঙ্ক কষে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে চিদম্বরম জানিয়েছিলেন, ১২টি রাজ্যে কংগ্রেস নিজেদের শক্তিতেই শ’দেড়েক আসন পেতে পারে। আর বাকি রাজ্যে শরিকদের সঙ্গে মিলে আরও দেড়শ’। রাহুল মনে করেন, উত্তরপ্রদেশ আর বিহারে বিরোধীদের সার্বিক জোট প্রায় হয়েই গিয়েছে। জোটের কাছে কোণঠাসা বিজেপি ওই দুই রাজ্যে তলানিতে ঠেকবে। সব মিলিয়ে গোটা দেশে কোনো অবস্থাতেই ২০০-র কোঠা পেরোতে পারবে না তারা। তবে সেই সঙ্গেই রাহুলের হিসেব, কোনোভাবে ২২০-২৪০টি আসন জোগার করতে পারলে অবশ্য বিজেপি ফের সরকার গড়ার পথে যাবে।
রাহুল মনে করেন, বিজেপির আসন ২২০তে নেমে গেলেই মোদির পক্ষে আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া কঠিন। কারণ তখন সঙ্ঘ এবং বিজেপির একাংশই তাঁকে চেপে ধরবেন। সে কারণেই মোদি-অমিত শাহরা এখন এত আক্রমণাত্মক। সে কারণে তাঁদের হারাতে দরকার একটি মসৃণ বিজেপি-বিরোধী জোট। সেটাই এখন সব চেয়ে বড় চিন্তা রাহুলের।
সূত্র : আনন্দবাজার।
More Stories
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কোটাবিরোধী আন্দোলনের খবর
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ছয় জনের...
পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে ইমরান খানের ‘পিটিআই’
পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে ইমরান খানের ‘পিটিআই পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে...
প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল রুশনারাকে
নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুশনারাকে। তিনি ছাড়াও একাধিক প্রার্থীকে হুমকি এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য...
বন্ধুত্ব বাড়াতে পুতিনের দেশে মোদি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মস্কোয় গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রায় পাঁচ বছর পর তিনি...
নতুন করে নির্বাচনের দাবি ইমরান খানের
পাকিস্তানে নিরপেক্ষ ইসির অধীনে নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে...
শুরুতেই পেজেশকিয়ানকে খামেনির সতর্কবার্তা
ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সংস্কারপন্থি আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান। কট্টর রক্ষণশীল প্রতিদ্বন্দ্বী সাঈদ জালিলিকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন তিনি।...