Read Time:3 Minute, 19 Second

বিগত ২০ জুন ২০১৭ সালে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে গিয়ে লস এঞ্জেলেসে গ্রাফতার হন বাংলাদেশী জাকির (৪০)। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে তিনি লস এঞ্জেলেসে এসে আর দেশে ফেরেননি। দুই বছর বৈধ কোন কাগজপত্র ছাড়াই তিনি কাজ করেছিলেন। যার প্রেরিত অর্থে তার পরিবারের ভরণপোষণ চলছিল। আটক বাংলাদেশীর মুক্তির ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। জাকিরের পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন জেরিম এ্যার ফ্রোস্ট। ইতিমধ্যে দুই দফা জাকিরের জামিন আবেদন আদালত থেকে নামঞ্জুর হয়েছে।
সূত্রে প্রকাশ, জনৈক বাংলাদেশী দোভাষী কোন আইনজীবী সাথে না নিয়ে স্বয়ং তিনি ইমিগ্রেশন বিভাগে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য জাকিরকে নিয়ে যায়। সেখান থেকেই জাকিরকে গ্রেফতার এবং পরবর্তিতে হাজতে প্রেরণ করা হয়।

প্রায় এক বছর হয়ে গেলেও জামিন সহ কোন সুরাহা করা যায়নি জাকিরের।
বিভিন্ন সূত্রে শোনা যাচ্ছে, তারা জন্য কমিউনিটি থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে কিন্তু সংগৃহীত অর্থের কোন হিসাব নিকাশ কারও সঠিকভাবে জানা নেই। তবে সামসুল ইসলামের ফেসবুকের মাধ্যমে জানা যায় যে, জেলখানা থেকে কমিউনিটির অনেকের কাছে ফোন করে কোন উত্তর পায়নি। সামসুল ইসলামের সাথে জাকিরের সঙ্গে কথা হয়েছে যে, আগামী ১৯ জুলাই তার আপিলের ডেড লাইন।

এদিকে মুক্তি না হওয়ায় আশাহত হয়ে ভেঙ্গে পড়েছেন তার স্বজনরা। সন্তানের মুক্তির আশায় দিনগুণছেন ৮০ বছর বয়সি বৃদ্ধা মা মাহফুজ খাতুন।
মোহাম্মদ জাকির হোসেনের বাড়ি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা উপজেলার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ পতেঙ্গা নাজির পাড়ায়।
জাকিরের স্ত্রী জাহানারা বর্তমানে দেশে তিন শিশুপুত্র ও শাশুড়িকে নিয়ে নিদারুণ কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অর্থের অভাবে সন্তানদের লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

সেই সঙ্গে সংসারও চলানো কষ্ট হয়ে পড়েছে। জাহানারা তার স্বামীর মুক্তিতে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারসহ লস এঞ্জেলেসে বসবাসরত বাংলাদেশীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
আইন বিশেষজ্ঞগণ ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য কোন আইনজীবী ছাড়া অন্য কাউকেও ইমিগ্রেশনের সম্মুখীন না হওয়ার সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post পাকিস্তানে নির্বাচনী সমাবেশে বোমা হামলায় নিহত ১২
Next post রিয়াদ-ঢাকা-রিয়াদ রুটের বাতিল ফ্লাইট চালুর দাবি
Close