Read Time:4 Minute, 9 Second

ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির প্রতিবাদ জানাতে যুক্তরাষ্ট্রের ২৪২তম স্বাধীনতা বার্ষিকী অর্থাৎ ৪ জুলাই বুধবার লংকাকাণ্ড ঘটিয়েছেন মধ্যবয়সী এক নারী। নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানে নদীর মধ্যে অবস্থিত ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’র চূড়ায় উঠে সেখানে ‘আইস বিলুপ্ত করা’ ব্যানার লাগাচ্ছিলেন। ৩০৫ ফুট উঁচুতে উঠার সময়েই ট্যুরিস্টরা পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এমনিতেও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয়েছিল সারা সিটিসহ গুরুত্বপূর্ণ সব এলাকায়, এরইমধ্যে নারীকে লেডি লিবার্টির চূড়ায় উঠতে দেখে পুলিশী অভিযান শুরু করা হয়। এ সময় সেখান থেকে ট্যুরিস্টদের সরে যাবার নির্দেশ জারি হয়। এরপর টানা ৩ ঘণ্টার বেশি সময় নারীটি পুলিশের নির্দেশ মত আত্মসমর্পণে রাজি হননি। উল্টো পুলিশের নির্দেশ উপেক্ষা করেই সে স্ট্যাচু অব লিবার্টির প্রায় চূড়ায় উঠে পড়ে।
পুলিশের হেলিকপ্টারে করে সকল ট্যুরিস্টকে ঐ স্থান থেকে সরিয়ে নেয়ার পর ওই নারী ‘রাইজ এ্যান্ড রেসিস্ট’ এবং ‘ট্রাম্পকেয়ার মেকস আস সিক’ লেখা টি-শার্ট প্রদর্শন করেন। অর্থাৎ তিনি কোন অপকর্মের জন্যে উঠেননি, বরঞ্চ ইমিগ্রেশন ইস্যুতে ট্রাম্পের নিন্দা ও প্রতিবাদ কর্মসূচির সমর্থনে সেখানে ‘আইস বিলুপ্তি’র ব্যানার টানাতে চান। এ অবস্থায় পুলিশ কিছুটা স্বস্তিবোধ করলেও বিনা অনুমতিতে ঐ স্থানে উঠার জন্যে ওই নারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। প্রায় একই সময়ে নিউইয়র্ক সিটিতে ওই একই ব্যানারে বেশ কিছু আমেরিকান বিক্ষোভ করার সময় পুলিশ গ্রেফতার করেছে এক ডজনেরও অধিক নারীকে। তবে স্ট্যাচু অব লিবার্টিতে উঠার কোন কর্মসূচি ছিল না ওই গ্রুপের।
উল্লেখ্য, আইস (ইমিগ্রেশন এ্যান্ড কস্টিমস এনফোর্সমেন্ট) এজেন্টরা ট্রাম্পের নিষ্ঠুর নীতির বাস্তবায়নে অভিযান চালাচ্ছে। এজন্যে এই সংস্থাটি বিলুপ্তির দাবি উঠেছে জোরেশোরে। ইউএস সিনেটে বিরোধী দলীয় নেতা থেকে হাউজের নেতারাও এই সংস্থাকে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ করেছেন। সারা আমেরিকায় ৭ শত সিটিতে ৩দিন আগে বিক্ষোভ হয়েছে আইস বিলুপ্তসহ অভিবাসীদের গ্রেফতার অভিযান স্থগিত করার দাবিতে।
স্ট্যাচু অব লিবার্টি সংলগ্ন এলিস আইল্যান্ড পার্কে বেআইনীভাবে প্রবেশ ও ঐ স্ট্যাচুর ওপরে উঠার জন্যে পুলিশ ওই নারীকে গ্রেফতার করেছে। তার নাম টেরেসা ওকোমো (৪৫), থাকেন সিটির স্ট্যাটেন আইল্যান্ডে। ২৯ জুন এই ব্যানার হাতে তিনি আরো অনেকের সাথে সিটি ফোলি স্কোয়ারে বিক্ষোভ করেন। লেখাপড়া করেছেন কঙ্গোতে। নিউইয়র্কে বসবাস করছেন ১০ বছর যাবত।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post খালেদার মুক্তির দাবিতে রিয়াদে বিএনপির প্রতিবাদ সভা
Next post স্পেনের মাদ্রিদে চট্টগ্রাম সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা
Close