Read Time:6 Minute, 3 Second

প্রবাস বাংলা সংবাদ :
গত ১৯ জুন মঙ্গলবার প্রস্তাবিত লিটল বাংলাদেশ নেবারহুড কাউন্সিল সাবডিভিশন নির্বাচন হয়েগেছে। ভোটগ্রহণ শুরু হয় দুপুর থেকে দুটি ভোট কেন্দ্রে। একটি ছিল হারভারর্ড এলিমেন্টরি স্কুল এবং অপরটি ছিল ফাউন্ডার চার্চ্চ অব রিলিজিয়াস সায়েন্স। কোরিয়া টাউন উইলশ্যায়ার নেবারহুড কাউন্সিল এলাকাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে দুটি নেবারহুড কাউন্সিল সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষে মারুফ ইসলাম ও জেরিন ইসলাম সিটিতে আবেদন করলে সিটি হ্যাঁ/না ভোটের আয়োজন করে। কোরিয়ান কমিউনিটি বিষয়টা সুনজরে দেখেনি, বিশেষ করে সীমারেখা ছিল কোরিয়া টাউনের অর্ধেক অংশ।

তাদের প্রচারণা ‌‌’না’ ছিল অত্যান্ত শক্তিশালী ও সুসংঘবদ্ধ। দুপুর বারটা থেকে ভোটকেন্দ্রে সারিবদ্ধভাবে লাইন দিতে শুরু করে। দুটার মধ্যে সমগ্র ব্লকজুড়ে কোরিয়ান কমিউনিটির লম্বা লাইন সবাইকে বিস্মত করে তোলে। এক একজন ভোটারের ভোট দিতে সময় লেগেছে গড়ে ৪/৫ ঘন্টা। লস এঞ্জেলেসের ইতিহাসে এমন নির্বাচন কোথাও হওয়ার ঘটনা নেই। এ নির্বাচন ছিল কোরিয়ান কমিউনিটির অস্তিত্বের লড়াই। সেই লড়াই দিয়ে দেখিয়ে দিল অধিকার রক্ষায় তারা কতটা ঐক্যবদ্ধ ও দেশাত্মবোধের প্রগাড়তা। ভোট কেন্দ্রে প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির সংখ্যা ছিল অতি নগন্য। যদিও কেউ কেউ ভোট দিতে উপস্থিত হয়েছিল। তবে লম্বা ও দীর্ঘ সময়ের কথা ভেবে ফিরে গেছে। ৬ ঘন্টার নির্বাচন শেষ করতে অতিরিক্ত তিন ঘন্টা লেগেছে। রাত ৮টায় নির্বাচনের শেষ সময় পর্যন্ত হাজার হাজার ভোটার ভোট দানের জন্য অপেক্ষায় থাকার ফলে সকলকেই ভোট দিতে দেওয়ার সুযোগ করতে রাত ১১টা বাজে।
কোরিয়ান কমিউনিটি ভোট দিতে দূরদূরান্ত থেকে এসেছিল। তারজন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করেছিল। কোরিয়ান আেমেরিকান ফেডারেশন অব লস এঞ্জেলেস এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিল।
তাদের প্রচারণা ও ব্যবস্থাপনা ছিল সুক্ষ ও পরিকল্পিত। অর্থ ও জনবল দিয়ে সেই চ্যালেঞ্জ রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে কোরিয়ান কমিউনিটি। হানমি ব্যাঙ্ক (কোরিয়ান ব্যাঙ্ক) প্রায় ৪০,০০০ ডলার দিয়েছিল এই নির্বাচন বাবদ। কমিউনিটির বিভিন্ন সংস্থা ভোটারদের যাতায়াতের ব্যাবস্থা করেছিল, চার্চ্চের বাস পরিবহনের ব্যাবস্থায় ব্যাবহার করা হয়েছিল। অসংখ্য ভলেনটিয়ার প্রতিটি ভোটারের খাবার সরবরাহ করে আপ্যায়নের ব্যাবস্থা জোরদার করেছিল। এমনতর নির্বাচন আগে কখনও দেখা যায়নি। মূলধারার মিডিয়া ব্যাপকভাবে নির্বাচনকে তুলে ধরেছিল।
উক্ত নির্বাচনে কমিউনিটির অংশগ্রহণ ছিল প্রহশনমূলক। নেবারহুড কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে কোরিয়া টাউনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির উপর নেগেটিভ প্রভাব আসতে পারে বলে বিজ্ঞমহল মনে করেন।

বাসাভাড়া পাওয়া বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাড়া পাওয়ার ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটার আশংকা করেছেন কমিউনিটি। অনেক নেতৃবৃন্দ আবেদন কারীদের দায়ী করেছেন। কারণ কমিউনিটির মানুষের সম্মতি না নিয়ে এককভাবে সিদ্ধন্ত গ্রহণ করার ফলে কমিউনিটির মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ বলে অভিযোগ করেছে।
অনেকেই সীমারেখা নিয়ে মধ্যস্থতার মাধ্যমে অগ্রসর হওয়ার পক্ষপাতী ছিল বলে মনে করেছেন।
উল্লেখ্য, শুরুতেই লিটল বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব কমিউনিটির সকল স্তরের মানুষকে নিয়ে প্রথম টাউন হল মিটিং ডেকে ছিল এবং কমিউনিটিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।
লিটল বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী মশহুরুল হুদা জানান, প্রেস ক্লাবের মাধ্যমে বাংলাদেশী কমিউনিটির নিরীহ মানুষদের উপর যাতে কোরিয়ান কমিউনিটির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এবং উভয় কমিউনিটির ভেতর যাতে কোন প্রকার ক্ষোভ ও বিভেধ সৃষ্টি না হয় তার জন্য মিটিং এর ব্যাবস্থা করবেন। আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে জানা যাবে নির্বাচনী ফলাফল। তবে আনুমানিক ১০,০০০ ভোট পড়েছে ডাকযোগে এবং দুই কেন্দ্রে ২০,০০০ মানুষ ভোট দিয়েছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী
Next post শুক্রবার বইমেলা শুরু হচ্ছে
Close