Read Time:4 Minute, 29 Second

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ‘সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম’র যুক্তরাষ্ট্র শাখা আয়োজিত মতবিনিময় সভায় রাইপেনের প্রেক্ষাপট ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেছেন রাইপেন(RIPEN) টাস্কফোর্সের সদস্য ড. এ কে এ আব্দুল মোমেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দীর্ঘ ৩২ বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাস-জীবন ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া অর্থনীতির এমিরিটাস প্রফেসর ড. মোমেন বলেন, ‘রাইপেনের ‘আর’ হচ্ছে রেমিটেন্স, আই-ইনভেস্টমেন্ট তথা বিনিয়োগ, পি-ফিলনথ্রপি তথা সেবামূলক কর্মকাণ্ড, ই-এক্সপেরিয়েন্স তথা অভিজ্ঞতা এবং এন হচ্ছে নেটওয়ার্ক।

মোমেন উল্লেখ করেন, প্রবাসীরা বিপুল অংকের অর্থ পাঠাচ্ছেন স্বজনের কাছে। কিন্তু সেই অর্থ পরিকল্পিত উপায়ে ব্যয়ের কোন প্রক্রিয়া না থাকায় খাবার, পোশাক, বিলাসিতায় ব্যয় হচ্ছে। কেউ কেউ নিজ গ্রামে ছোটখাটো কল-কারখানা অথবা কৃষি জমি কিংবা এপার্টমেন্ট ক্রয় করছেন। অথচ কেন্দ্রীয়ভাবে পৃষ্টপোষকতায় একটি পরিকল্পনা থাকলে রেমিটেন্সের সেই অর্থে গোটা জাতির উন্নয়ন-পরিক্রমা আরো জোরালো হতে পারবে।

ড. মোমেন তার দীর্ঘ প্রবাস-জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, ‘চিকিৎসক, শিক্ষক, বিজ্ঞানী, শিল্পী, সাংবাদিক, আইটি বিশেষজ্ঞরা প্রায় বছরই বাংলাদেশে যান। এ সংক্রান্ত একটি ‘সেল’ থাকলে, তার সাথে ওই প্রবাসীরা আগে থেকেই যোগাযোগ করে স্বদেশ ভ্রমণের সময় নির্দিষ্ট একটি সময়ে বিনামূল্যে সার্ভিস দিতে পারবেন। এছাড়া, অনেক প্রবাসী নিজ এলাকার হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসা-সরঞ্জাম, স্কুল-কলেজে কম্প্যুটার, বই-পত্র, শীতবস্ত্র, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা চালানোর ক্ষেত্রেও ওই ‘সেল’ সমন্বয়কারির ভূমিকা পালন করবে।

রাইপেন গঠনের প্রত্যাশা পূরণ করতে প্রবাসের মুক্তিযোদ্ধা এবং একাত্তরের চেতনায় উজ্জীবিতরা একযোগে কাজ করবে বলে উপস্থিত সকলে এ সময় সম্মতি দেন।

যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। নির্বাহী সদস্য মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার স্বাগত বক্তব্য দেয়ার পর পুরো মতবিনিময় অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি।

বিভিন্ন বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন কন্ঠযোদ্ধা ফকির আলমগীর, রথীন্দ্রনাথ রায় এবং শহীদ হাসান, মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সহ-সভাপতি রফিক আহমেদ এবং হারুন ভূইয়া, যুগ্ম সম্পাদক হাজী আব্দুল কাদের মিয়া, মহিলা সম্পাদিকা সবিতা দাস, নির্বাহী সদস্য হাজী জাফরউল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা-সন্তান ফাহাদ সোলায়মান, উইলি নন্দি প্রমুখ।

বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরো ছিলেন সাপ্তাহিক বর্ণমালা পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম, শো-টাইম মিউজিকের কর্ণধার আলমগীর খান আলম।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post স্ত্রী হত্যাচেষ্টার দায়ে নিউইয়র্কে বাংলাদেশির ১৮ বছরের জেল
Next post ডেনমার্কে বর্ষবরণ উৎসব উদযাপন​
Close