Read Time:5 Minute, 3 Second

বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ-অস্ট্রিয়া সমিতির উদ্যোগে ভিয়েনায় বরণ করা হয়েছে বাংলা নববর্ষ। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার ভিএইচএস ফ্লরিসড্রফে ২৯ এপ্রিল বিকেলে অনুষ্ঠিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অস্ট্রিয়ান ও অন্যান্য ভাষাভাষীর মানুষসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালি উপস্থিত ছিলেন।

বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- সংগঠনের সভাপতি রুহি দাস সাহা। সঞ্চালনা করেন অনুপমা হক ও মুন হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফরের সহধর্মিণী সালমা আহমেদ জাফর।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অস্ট্রিয়া ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা বায়েজিদ মীর, বাংলাদেশ দূতাবাস ভিয়েনার অনারারি কাউন্সেলর ভলফগাং উইনিনগার, বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ-অস্ট্রিয়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলাইমান শাহ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আনবিক সংস্থার কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, সহ-সভাপতি আকতার হোসেন, গাজী মোহাম্মদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন হোসেন, লুৎফর রহমান সুজন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক জাফর ইকবাল বাবলু প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি উপলক্ষে প্রথমেই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনান রুহি দাস সাহা।

রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর বাংলার পয়লা বৈশাখের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, বাংলার ঐতিহ্যে ঘেরা বর্ণিল সংস্কৃতি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য প্রবাসে এই ধরনের অনুষ্ঠান খুব জরুরি। তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে এম. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের অনুষ্ঠান আমাদের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখবে। বাঙালি সংস্কৃতিতে উজ্জীবিত হবে প্রবাসে আমাদের নতুন প্রজন্ম।’

খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, প্রবাসে বাংলা বর্ষবরণ আয়োজন আমাদের নতুন প্রজন্মকে বাংলার সংস্কৃতিকে জানার সুযোগ করে দেয়।

অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল প্রবাসী শিল্পীদের মনোজ্ঞ পরিবেশনা। বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন, নাহিদ খান সুমি, মিয়া বাবু, ফারজানা তাতি, জুয়েল, জাকিয়া, ঐশৈর্য্য, প্রজ্ঞা, প্রভা, রামিতা, ইশিতা, অয়ন, অর্জন, পিয়ানা, মালিহা, জারা, সারা, শিমন, এথিনা, আনিকা, লিয়ানা, রাম, প্রদিপ্ত, রোদেলা, সারা খান, পিউল, আধরিয়া, বীথি, ফারা, অর্নব, জাকারিয়া প্রমুখ।

এছাড়া তবলায় ছিলেন, বিশ্বজিৎ ঘোষ, মিউজিকে ছিলেন, মঈনুদ্দিন কাজী, সঙ্গীত ও নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন নাহিদ খান সুমি।

অনুষ্ঠানে সকল সঙ্গীত ও নৃত্য শিল্পীর হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। সবার জন্য প্রীতিভোজে ছিল, ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার।

উল্লেখ্য অনুষ্ঠানটি সুন্দর ও সফল করতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন, সাইফুল ইসলাম শিশির, মিতা সাহা, অর্পনা দাস, মানসী পন্ডিত, সুমি কামাল, সাকিলা রহমান, লিপি রায়, তাহমিনা আলপনা, বিত্তি দাস প্রমুখ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post মিশিগান আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি
Next post মালয়েশিয়ায় বাইতুল ফালাহ মসজিদের মাহফিল সম্পন্ন
Close