Read Time:3 Minute, 59 Second

ইতালিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। দিনটি উপলক্ষে আয়োজন করে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান মালার।

শনিবার ১৭ মার্চ রাজধানী রোমে দূতাবাস কার্যালয়ে কেক কেটে জাতির জনকের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের পূর্বঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।

এসব কর্মসূচি শুরু হয় জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মাধ্যমে। প্রথমেই পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবাহান সিকদার। অন্যদের মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে ছিল ইতালিতে বেড়ে উঠা শিশু-কিশোরদের জন্য কবিতা, ছড়া ও বিভিন্ন খেলার প্রতিযোগিতা। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর আগে কোরআন তেলোয়াত করেন প্রথম সচিব আরফানুল হক।
দূতাবাসের প্রথম সচিব ইরিন ইসলাম জুলির পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সর্ব ইউরোপ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কেএম লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম কিবরিয়া, ইতালি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলি আহমেদ ঢালী।
এতে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন মানস মিত্র এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব শেখ সালে আহমেদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সর্ব ইউরোপ আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা হোসনে আরা বেগম, ইতালি আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম মাঝি, জসিম উদ্দীন, আব্দুর রফ ফকির,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এম এ রব মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের, দীন মোহাম্মদ, প্রমুখ।

এসময় রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর শিশুকালের ওপর ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তিনি জাতির জনক জন্ম গ্রহণ করেছেন। তিনি জন্ম না নিলে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেতামনা। জাতির পিতা শিশুদের খুব আদর করতেন। তাই বিদেশের মাটিতে আমরাও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে পারছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সুন্দর দারিদ্র্যমুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়ার। তিনি চেয়ে ছিলেন সবাই সুন্দর ভাবে জীপন যাপন করবে।

শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন- তোমরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। একদিন তোমরা বড় বড় অফিসার পদে চাকরি করবে। সেজন্য ভাল করে পড়াশোনা করতে হবে। পরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের রাষ্ট্রদূত পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠান শেষে সুস্মিতা সুলতানার পরিচালনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post সুইজারল্যাণ্ড আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপ
Next post কানাডায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন
Close