Read Time:6 Minute, 8 Second
কাজী মশহুরুল হুদা :
লিটল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছিল ২০০০ সাল থেকে। দশ বছর পর সেই স্বপ্ন সফল হয়েছিল। বিগত ৭/৮ বছর অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু কমিউনিটির মানুষ প্রাপ্তিটাকে কোন ইমপ্রুভমেন্ট করতে ব্যার্থ হয়েছে। ২/১টা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে কিন্তু দেশের কৃষ্টি বা কালচার এই এলাকায় দৃশ্যমান করতে ব্যার্থ তারা। প্রাপ্তির বিষয়টাতে কার কতটা অবদান আছে সেটাই প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যাতিব্যাস্ত। দীর্ঘ ৭/৮ বছর পর সম্প্রতি আরেকটি স্বপ্ন দেখছে লিটল বাংলাদেশ কমিউনিটি। কে বা কারা করছে সেটা বড় কথা নয়। কমিউনিটি তথা দেশ ও জাতির কোন মঙ্গল হচ্ছে কিনা সেটাই বড় কথা। লস এঞ্জেলেস সিটির কাছে পিটিশন জমা পড়েছে লিটল বাংলাদেশ নেবারহুড কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার জন্য। একই প্রক্রিয়ায় ৫০০ জনের অধিক স্বাক্ষর সম্বলিত সীমা রেখা সহ মারুফ ইসলাম প্রধান আবেদন কারী ও তার স্ত্রী বর্তমান কোরিয়া টাউন নেবারহুড কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরিন মারুফ দ্বীতিয় স্বাক্ষরকারী হিসেবে জমা পড়েছে। প্রক্রিয়া অনুযায়ী মারুফ ইসলাম জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে কয়েক দফা মিটিং হয়েছে। আগামী ১৯ মে মার্চ লস এঞ্জেলেস সিটির কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে আবেনের উপর ভিত্তি করে প্রস্তাবিত আবেদনের জন্য একটি সমাবেশ হবে যেটা কমিউনিটির জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এখন প্রশ্ন হলো হঠাৎ করে প্রতিষ্ঠিত ইউলশায়ার সেন্টার নেবারহুড কাউন্সিল অর্থাৎ কোরিয়া টাউন নেবারহুড কাউন্সিলকে বিভক্ত করে করার পক্ষে কি যৌক্তিকতা থাকতে পারে? আমরা যদি লিটল বাংলাদেশ কমিউনিটির কথা চিন্তা করে করি তা হলে সম্ভাবনা কম, কারণ এখানে আরও অন্যান্য কমিউনিটি বসবাস করে। তাদের কথাও চিন্তা করতে হবে। যদিও আমরা আমাদের কমিউনিটি তথা দেশের স্বার্থে করছি কিন্তু তার ভেতর সকলের সুবিধা জড়িত থাকতে হবে এবং তাদের সমর্থনের প্রয়োজন রয়েছে। যদিও বলা হয়েছে প্রস্তাবিত কার্যক্রম কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে বাস্তবায়নের প্রায় শেষের দিকে তথাপি বিষয়টি অতি সহজভাবে দেখা যাবে না। লিটল বাংলাদেশ নেবারহুড কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত করার পক্ষে বক্তব্য থাকতে হবে সাধারণ মানুষের পক্ষে।
ইউলশ্যায়ার সেন্টার-নেবারহুড কাউন্সিলের মধ্যে রয়েছে বিজনেস ও রেসিডেন্সিয়াল নেবারহুড। বৃহত্তর এলাকাকে বিভক্ত করে যদি দুটি নেবারহুড কাউন্সেলে পরিনত করা হয় তাহলে এলাকার উন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে। মানুষের অভাব অভিযোগ ও প্রয়োজনীয়তার চাহিদা পূরণ ও বাস্তবায়ণে সুবিধা হবে। কমিউনিটির মানুষ মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হওয়ার সুযোগ পাবে, নতুন প্রজন্মদের অংশগ্রহণের পথ প্রশস্ত হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, লস এঞ্জেলেসে ৯৬টি নেবারহুড কাউন্সিল রয়েছে। লিটল বাংলাদেশ নেবারহুড স্বীকৃতি হলে ৯৭তম কাউন্সিল হবে। ১৯৯৯ সাল থেকে লস এঞ্জেলেসে নেবারহুড কাউন্সিলের কার্যক্রম শুরু হয়। শুধুমাত্র ঘনবসতি এলাকার নিরাপত্তা ও উন্নয়নের সুবিধার্থে সিটি হলের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে ও কমিউনিটির নির্বাচিত ব্যাক্তিবর্গের দ্বারা পরিচালিত হয় এবং তার জন্য বাজেটও বরাদ্ধ থাকে। মূল ইউলশ্যায়ার সেন্টার নেবারহুড কাউন্সেলকে দুভাগে ভাগ করার পর লিটল বাংলাদেশ নেবারহুড কাউন্সেল সীমারেখায় ১,০০,০০০ মানুষের ঘনবসতি রয়েছে।
সেখানে সিটি অনুযায়ী ২০, ০০০ নূন্যতম বসতি থাকলে নেবারহুড কাউন্সেল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব আনা যায়। সবকিছুর দিক থেকে লিটল বাংলাদেশ নেবারহুড কাউন্সেল হওয়ার নীতিগত সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা যদি দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এবং কারা করছেন, কারা নাম কামাবেন সে দিকে লক্ষ্য না দিয়ে যদি দেশাত্মবোধের ভিত্তিতে কামনা ও সহযোগিতা করি তা হলে প্রাপ্তির সাফল্য সকল জাতির মানুষের কল্যাণে নিহিত থাকবে। অনেক সময় অতি সন্ন্যাসীতে গাঁজন নষ্ট হয়। আবার নীরবে-নীভৃত্যে সমস্যার সমাধান হয়। আমরা চাই লিটল বাংলাদেশ নেবারহুড কাউন্সেল প্রতিষ্ঠিত হোক, কমিউনিটি আরও এক ধাপ এগিয়ে যাক।
 
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post কাতারে ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
Next post নেপালে বিমান বিধ্বস্তে প্রাণ গেলো ৫০ জনের
Close