চায়নিজ নিউ ইয়ার কড়া নাড়ছে সবার ঘরে ঘরে। তাই মালয়েশিয়ার প্রতিটি শহর, বিপনীবিতান ও বাড়িগুলোকে সাজানো হয়েছে চায়নিজ বিশেষ কাপড়ের রঙিন সাজে। চন্দ্র বর্ষের প্রথম দিনটিকে চীনারা নববর্ষ হিসেবে পালন করে থাকে। এই উৎসবকে বলা হয় ‘চুন জি’। চীনারা তাদের নিজস্ব বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে। নতুন বছর আসলে কোন তারিখ থেকে শুরু হবে এর কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। কারণ এই তারিখ প্রতি বছর পরিবর্তন হয়!বর্ষপঞ্জি অনুসারে এ বছর ফেব্রুয়ারির ষোল তারিখ থেকে চীনাদের নতুন বছর শুরু হচ্ছে। চীনাদের নববর্ষ আর বসন্ত দুটোই আগমন হয় একই সময়ে।
চায়নিজ নিউ ইয়ার উৎসব মূলত বছরের শেষ মাসে ক্রিসমাস উৎসব উদযাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে যায়, বাকী থাকে শুধু আনুষ্ঠানিকতা। ক্রমান্বয়ে সেই উৎসবের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চায়নিজদের মাঝেও। তারই ধারবাহিকতায় সেই ঢেউয়ের আঁচ লাগে তিন জাতির দেশ (মালয়, তামিল, চায়নিজ) মালয়েশিয়ান চায়নিজদের মাঝেও।
অন্যান্য দেশে শুধু চায়নিজরা এ উৎসব পালন করলেও পর্যটন নগরী মালয়েশিয়ায় মালয়েশিয়ান চায়নীজরাসহ অন্যান্য জাতিরাও একটু অন্য রকম আশায় থাকেন। কারণ মালয়েশিয়াতে চায়নিজ নিউ ইয়ার মানে লম্বা ছুটি আর মোটা অংকের বোনাস। যেখানে মালয়েশিয়ায় অনেক সময় বিদেশী শ্রমিকরা ঈদের দিনও ছুটি পায়না, সেখানে বেশির ভাগ মিল কারখানার মালিক চায়নিজ হওয়ায় সরকারিভাবে চায়নিজ নিউ ইয়ারে দু’দিন ছুটি হলেও চায়নিজরা তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখে প্রায় এক-দুই সপ্তাহ। কোন কোন প্রতিষ্ঠানে মেলে বেতন সমান ডাবল বোনাসও।
সারা বছর পুরো মালয়েশিয়া জুড়ে কোথাও কমলা তেমন দেখা না গেলেও চায়নিজ নিউ ইয়ারকে কেন্দ্র করে মোড়ে মোড়ে বসে কমলার স্টল, বিভিন্ন জায়গা থেকে আমদানি করা হয় কমলা। কারণ কমলা ছাড়া যে নিউ ইয়ারই বৃথা। চায়নিজ নিউ ইয়ার এ মালয়েশিয়ায় থাকে কমলার ছড়াছড়ি। চায়নিজ মালিকদের অধীনে কাজ করা সকল শ্রমিক ও চায়নিজ সকল সরবরাহকারী তাদের সকল জাতের গ্রাহকদের উপহার সরূপ দেন কমলা।
নতুন বছরকে তারা একেক বছর একেকটি প্রাণীর নামে নামকরণ করে থাকে। নির্দিষ্ট ১২টি প্রাণীর নাম ঘুরেফিরে রাখা হয় একেক বছর। এ বছরকে চীনা ক্যালেন্ডার মতে চায়নিজ নিউ ইয়ার আসছে কুকুর বর্ষ হিসেবে। বাকি ১১টি প্রাণী হচ্ছে: ইঁদুর, ষাঁড়, বাঘ, খরগোশ, ড্রাগন, সাপ, ঘোড়া, ভেরা, মোরগ, কুকুর এবং ভাল্লুক।
এশিয়ার ইউরোপখ্যাত পর্যটন দেশ মালয়েশিয়ার সৌন্দর্য্যের বর্ণনা বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না কখনো। এ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমিকে যদি আবার সাজানো হয় নিজ হাতে তাহলে তো পুরো দেশটাই যেন স্বপ্নপূরী। ঠিক এ মুহূর্তে সারা মালয়েশিয়াকে স্বপ্নপূরীর মতই মনে হচ্ছে। কারণ আর কয়েকদিন পরেই মালয়েশিয়ায় চায়নিজদের সবচেয়ে বড় উৎসব ‘চায়নিজ নিউ ইয়ার’ (Gong xi fa cai) ।
More Stories
লিবিয়া থেকে প্রত্যাবাসন হবেন আরও ২৬৩ বাংলাদেশি
উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়া থেকে আরও ২৬৩ অনিয়মিত বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল...
খালেদা জিয়ার বিষয়ে বাস্তবতা তুলে ধরে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করা হয়েছে: জেনেভা থেকে ভার্চুয়ালি আইনমন্ত্রী
ইউপিআর সম্মেলনে যোগ দেওয়া ১১১টির মধ্যে ৯০টি দেশ মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা শেষে বাংলাদেশকে সমর্থন করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।...
কাশ্মীরের ডাল লেকে হাউসবোটে আগুন, ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু
ভারতের কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের ডাল লেকে একটি হাউসবোটে আগুন লেগে ৩ বাংলাদেশি পর্যটক নিহত হয়েছেন। শনিবার স্থানীয় সময় ভোরে এ...
গাজায় দ্রুত যুদ্ধ বিরতির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ-বিরতি ও অঞ্চলটিতে অবৈধ দখলদারিত্ব বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গাজায় মানবিক সহায়তা নিশ্চিত ও...
নবীজির রওজা মোবারক জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৫ নভেম্বর) মদিনার মসজিদে নববীতে আছরের নামাজ আদায়ের...
ফিলিস্তিনের পক্ষে মুসলিম বিশ্বকে এক হওয়ার বার্তা বাংলাদেশের
ইসরায়েলের বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ গোটা মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। বুধবার (১৮ অক্টোবর)...