Read Time:6 Minute, 9 Second

কাজী মশহুরুল হুদা :

লস এঞ্জেলেসে বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে। কিন্তু কোন প্রেস ক্লাব ছিল না। মুষ্টিমেয় কিছু সৌখিন ব্যাক্তি দীর্ঘকাল যাবৎ সৌখিন সাংবাদিকতার মাধ্যমে লস এঞ্জেলেসের কমিউনিটির কথা তুলে ধরে আসছিলো। এখন যখন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটা প্রেসক্লাব করা হচ্ছে তখন নানা মুনির নাম মত প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। কি দরকার প্রেস ক্লাবের? আছেই বা কয়জন? তাদের মধ্যে পদবি নিতে আপনাদের লজ্জা করেনা বলে ভৎসর্না করেছে।

আমরা যারা দীর্ঘকাল ধরে কমিউনিটির সৌখিন সাংবাদিকতা করি তারা লিটল বাংলাদেশ প্রেসক্লাব উদ্বোধন করেছিলাম সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব ম হামিদের মাধ্যমে। পরবর্তিতে দু বছর কোন আলোর মুখ দেখেনি প্রেস ক্লাব। এরপর একটি আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়া চালু করা হয়। তখনই শুরু হয় উত্তেজনা।

কেন আমরা ক্লাবটা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম?

প্রথমত : লিটল বাংলাদেশ নামকরন উদ্দেশ্য ছিল। কমিউনিটির মাধ্যমে আমাদের অর্জিত লিটল বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে সুপরিচিত করে তোলার মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে দেশে বিদেশে দেশী ও মূলধারর মানুষদের কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে উৎসাহ ও উদ্দীপনা জাগৃত করাই ছিলো উদ্দেশ্য।

প্রেসক্লাব সৃষ্টির পেছনে উদ্দেশ্য হচ্ছে- ভিন্ন মতের ও আদর্শের মানুষ একত্রিত হয়ে একটি প্লটফর্মে দাঁড়িয়ে মূলধারায় দেশ, জাতি ও কৃষ্টিকে তুলে ধরার মাধ্যমে কমিউনিটি ও কমিউনিটির নতুন প্রজন্মদেরকে মূলধারায় প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করা এবং প্রবাসের সাথে দেশের সেতুবন্ধনের যোগসূত্র নির্মাণ করা।

যারা বলেন মুষ্টিমেয় কয়েকজন নিয়ে আবার কিসের প্রেস ক্লাব!

তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই। আমরা সুদূর প্রসারী চিন্তা চেতনায় প্রেস ক্লাব গঠন করতে যাচ্ছি। কূপমন্ডকায় আবদ্ধ চিন্তার আবর্তে যারা বসে বসে ফোড়ং কাটছেন তারা পরে টের পাবেন ফলপ্রসূতা। সংগঠিত প্রেস ক্লাব ইতিমধ্যে নাগরিক সাংবাদিকতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠেছেন। প্রেসক্লাবের প্রেরনায় মানুষের মাঝে সাংবাদিকতার সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে  ইতিমধ্যে। এর প্রভাবে দিন দিন বৃদ্ধি পাবে সচেতনতা এবং সচেতন হবে কমিউনিটির মানুষ। উন্নতির দিকে ধাবিত হবে কমিউনিটি। লস এঞ্জেলেসে বাফলা, বিজয়বহর, বৈশাখী মেলা, আনন্দ মেলা, বাংলাদেশ মেলা সহ যত কিছু কৃষ্টির কার্যক্রম ঘটে তা দেশ ও বিদেশে তুলে ধরেন মুষ্টিমেয় কয়েকজন সৌখিন সাংবাদিকবৃন্দ। প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যখন সংখ্যায় বৃদ্ধি তখন কমিউনিটির উন্নতি হবে।

আমাদের প্রেসক্লাব করার আরও একটা উদ্দেশ্য ছিল। কমিউনিটির মধ্যে হলুদ সাংবাদিকতার মাত্রাকে নির্মূল করা, চিহ্নিত করা। সুখব হচ্ছে- লিটল বাংলাদেশ প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা লগ্নে তড়িঘড়ি করে হলুদিয়া বর্গ নিজেরাই একটি প্রেসক্লাব করে নিজেদেরকে পৃথক করে ফেলেছেন। যাদের কমিউনিটিতে গ্রহণযোগ্যতা নেই। গণবিচ্ছিন্ন হয়ে কমিউনিটিতে প্রমাণ করলেন তাদের প্রকৃত রুপ।

লিটল বাংলাদেশ প্রেসক্লাব একটি পরিচ্ছন্ন ক্লাব হিসেবে কমিউনিটির বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদের মাধ্যমে উপদেষ্টা গঠনে কমিউনিটি প্রেস টুগেদার নীতিতে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিয়োজিত থাকবে। মূলধারার মানুষের সাথে কমিউনিটি ও নতুন প্রজন্মের ব্রীজ হবে লিটল বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব।

উল্লেখ্য, লিটল বাংলাদেশ কমিউনিটি মানে যারা লিটল বাংলাদেশ সীমারেখার মধ্যে বসবাস করেন শুধু তাদেরকেই বোঝায় না। বৃহত্তর লস এঞ্জেলেস তথা ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটিকেই বোঝায়। যেহেতু বিশ্বে লিটল বাংলাদেশ একটিই এবং অদ্বিতীয়, সেহেতু বিশ্বের সকল পরবাসীই লিটল বাংলাদেশের কমিউনিটি বলা যায়। এই লিটল বাংলাদেশের প্রক্রিয়ায় মিডিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। আমাদের মাধ্যমে লিটল বাংলাদেশের প্রচার হয়েছে এবং বিশ্বের আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে লিটল বাংলাদেশ প্রেসক্লাব বদ্ধপরিকর।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post সাত হাজার সিরীয়কে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অনুমতি
Next post আমিরাত প্রসাসের আনন্দ উৎসব
Close